কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের যানজটের কারণে একটি অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নিত্য দিনের সঙ্গী যেন যানজট, ঘর থেকে বের হলেই প্রতিটি মানুষকে যানজটের শিকার হতে হচ্ছে। দীর্ঘ আলোচনা সমালোচনার পর অবশেষে যানজট নিরসনে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও পৌর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। যানজট নিরসনের অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের বাইরের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা সীমান্ত এলাকার ১৩টি পয়েন্টে আটকে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ।
সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার গাইটাল শিক্ষকপল্লী সীমান্ত মসজিদ এলাকার সড়কে হোল্ডিং ফলক স্থাপনের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মুকিত সরকার, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মো. রমজান আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জেসমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদুল আহমেদ, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শফিকুর রহমান, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখসহ জেলা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শহরের বিশিষ্টবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, আমরা শহরবাসীকে যানজটের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে চাই। এ লক্ষ্যে যা যা করা প্রয়োজন সবই করা হবে। পরে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান শহরের গৌরাঙ্গবাজার সেতুতে যান। সেখানে সেতুর দুই পাশের ফুটপাতে বসা হকারদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন এবং তাদেরকে ফুটপাত ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় হকাররা তাদের জন্য অন্যত্র জায়গা বরাদ্দ দিয়ে পুনর্বাসন করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানান।


















