গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের ইটনা মিনি স্টেডিয়ামে বাজি (জুয়া) ধরে খেলার আয়োজন বন্ধ করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। তাদের ঠেকাতে গিয়ে পুলিশ ও আনসারের ৯ সদস্য আহত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ আবাসিক এলাকায় এই হামলা হয়। আক্রমণকারীরা বাসভবনের ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। সেই সঙ্গে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় ইউএনও মো. রায়হানুল ইসলাম প্রশাসনিক কাজে মৃগা ইউনিয়নে অবস্থান করছিলেন। তবে বাসায় তাঁর স্ত্রী ও ছেলে ছিলেন। হামলার তাঁরা ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপনসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের নিবৃত্ত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, সদ্য উদ্বোধন হওয়া মিনি স্টেডিয়ামে প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই একটি পক্ষ খেলাধুলা আয়োজনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছিল। এই খেলাকে ঘিরে আর্থিক লেনদেন অর্থাৎ বাজি ধরার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও স্টেডিয়ামে খেলাধুলার বিষয়ে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেন। গতকাল বিকেলে পুলিশ স্টেডিয়ামে গিয়ে তা জানিয়ে দেন এবং আপাতত খেলাধুলা বন্ধ রাখতে বলেন। এর জেরে হঠাৎ ২০০-৩০০ লোক ধর ধর বলে দৌড়ে গিয়ে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলা চালায়।
বুধবার রাতে এ ঘটনায় ইটনা থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুর নূর (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি সদরের বড়হাটি গ্রামের বাসিন্দা।