মঙ্গলবার , ২৮ অক্টোবর ২০২৫ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইতিহাস ও ঐতিয্য
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. জেলা সংবাদ
  10. দুর্নীতি
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রযুক্তি
  14. প্রশাসন
  15. বিনোদন

ভৈরবে অবরুদ্ধ ট্রেনে পাথর ছুড়ে ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা

প্রতিবেদক
somonnoy
অক্টোবর ২৮, ২০২৫ ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা ঘোষণার দাবিতে পাথর ছুড়ে ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় রেলপথ ঘটনায় সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইউসুফ বাদী হয়ে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ভৈরব রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাঈদ আহম্মেদ জানান, ইতিমধ্যে এ মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে এ বিক্ষোভ ও অবরোধের ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে বিক্ষোভকারীরা ট্রেন চলাচল বন্ধ করে রাখেন এবং সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে আটকে দেন। পরে সাড়ে ১১টার দিকে রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অবরোধকারীদের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার আহ্বান জানান। কিন্তু সে সময় বিক্ষোভকারীদের একটি পক্ষ ট্রেনটির দিকে পাথর নিক্ষেপ করে। ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় প্রায় অর্ধ শত মানুষ আহত হয়েছেন। অবশেষে বেলা পৌনে ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা রেলপথ অবরোধ তুলে নিলে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সোমবার ভৈরব রেলস্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মে ২০০ থেকে ২৫০ জন রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে থাকে। সকাল আনুমানিক ১০টা ২৫ মিনিটে নোয়াখালী স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী ভৈরব রেলস্টেশনে বিরতিহীন আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস (৭১১) ট্রেনটি ভৈরব রেলস্টেশনের পূর্ব আউটারে আটকা পড়ে। নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেনটিকে প্লাটফর্মে নিয়ে আসা হয়।

এ সময় ১ নম্বর প্লাটফর্মে আন্দোলনকারীরা ট্রেনের সামনে ১ নম্বর লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে ট্রেন চলাচলে বাধা দেয়। সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করলে অবরোধকারীদের ১০০ থেকে ১৫০ জন পাথর নিক্ষেপ করে। তারা যাত্রীদের প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে এবং ট্রেনের ইঞ্জিনবগি লক্ষ্য করেও ইট ও পাথর নিক্ষেপ করে। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন কোচের একটি লুকিং গ্লাস, একটি হেড লাইট ও একটি সাইড লাইট ও গার্ডরুমের একটি গ্লাস ও খাবার কোচের ওপরের দুটি গ্লাসসহ ইঞ্জিনের ওপর বিভিন্ন স্থানে রং চটে এক লাখ ৫০ হাজার টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হয়।

ভৈরব রেলওয়ে জংশনের মাস্টার আবু ইউসুফ জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

সর্বশেষ - আইন-আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত