শনিবার (১২ জুলাই) নিরাপদ খাদ্য আইন লঙ্ঘনের দায়ে কিশোরগঞ্জ জেলার পাঁচটি খাদ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানকে মোট পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিরাপদ খাদ্য আদালত।
দিনব্যাপী পরিচালিত এই অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জ নিরাপদ খাদ্য আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম। সংক্ষিপ্ত বিচারিক প্রক্রিয়ার (সামারি ট্রায়াল) মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানকে দণ্ড দেওয়া হয়।
পাঁচটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে; পাকুন্দিয়া উপজেলার রামকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও অবকাশ হোটেল অ্যান্ড সুইটমিট ভৈরব উপজেলার মায়ের দোয়া বেকারি, হাজী হোটেল ও সর্দার মিষ্টান্ন ভাণ্ডার।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার রামকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও অবকাশ হোটেল অ্যান্ড সুইটমিটকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুতের দায়ে প্রতিটিকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। ভৈরব উপজেলার মায়ের দোয়া বেকারিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ক্ষতিকর রঙ ব্যবহারের অভিযোগ ও মোড়কে মেয়াদ না থাকার কারণে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া হাজী হোটেল ও সর্দার মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে নিরাপদ খাদ্য আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের দায়ে আরও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম তালুকদার, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র পাল, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান চলাকালে জেলার বিভিন্ন বেকারিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য জব্দ ও ধ্বংস করা হয়। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে জেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।