রবিবার , ১৩ জুলাই ২০২৫ | ৩০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইতিহাস ও ঐতিয্য
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. জেলা সংবাদ
  10. দুর্নীতি
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রযুক্তি
  14. প্রশাসন
  15. বিনোদন

কিশোরগঞ্জে ইসলামী যুব আন্দোলনের বিক্ষোভ

প্রতিবেদক
somonnoy
জুলাই ১৩, ২০২৫ ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

১১ জুলাই (শুক্রবার) রাতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা। পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর মেরে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এ কর্মসূচীর পালন করা হয়।

শহীদি মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বক্তারা এ হত্যাকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেন এবং অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ রবিউল ইসলাম শাহীন। তিনি বলেন, রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে একজন নিরীহ ব্যবসায়ীকে যেভাবে পাথর মেরে, উলঙ্গ করে রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা কেবল বর্বরতাই নয়, রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। 

মুহাম্মাদ রবিউল ইসলাম শাহীন আরও বলেন, সোহাগ হত্যার মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজধানীর বুকে কেউ নিরাপদ নয়। চাঁদা না দিলে কিংবা প্রভাবশালীদের ‘না’ বললে মৃত্যু অনিবার্য। 

উক্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ সদর শাখার সেক্রেটারি মুহাম্মাদ সাদিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি জোবায়ের আহমাদ, ইসলামী যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন, দাওয়াহ সম্পাদক এইচ এম সাইফুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সদর শাখার সভাপতি তাকরীম আহমাদ শাদাব এবং পৌর সভাপতি খাইরুল ইসলাম।

এ সময় বক্তারা বলেন, এ হত্যাকাণ্ড শুধু সোহাগকে হত্যা নয়, বরং এটি পুরো ব্যবসায়ী সমাজের ওপর এক নির্মম বার্তা। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সোহাগের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো সোহাগকে এভাবে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে না হয়।

সমাবেশের শেষে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা খাইরুল্লাহ হুসাইনী। তিনি সোহাগের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং নিহতের পরিবার যেন এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে, সে দোয়াও করেন।

এ সময় কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তাদের কণ্ঠে ছিল একই স্লোগান “সোহাগ হত্যার বিচার চাই”, “নিরাপদ ঢাকা চাই”, “চাঁদাবাজদের রক্ষা নয়, বিচার চাই।” সারা দেশে আলোচিত এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জেও সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জনমনে ক্ষোভ ও হতাশা।  

সর্বশেষ - আইন-আদালত