কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে অবস্থিত বিখ্যাত জমিদার বাড়ী। মূলত জমিদার গিরিশ চন্দ্র পাল চৌধুরী কর্তৃক নির্মিত একটি ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। গিরিশ চন্দ্র পাল চৌধুরী মূলত প্রথম জীবনে একজন সুদখোর মহাজন ছিলেন এবং পরে তিনি জমিদারী ক্রয় করেন, ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে এই বাড়িটি নির্মিত হয় এবং এর উদ্বোধনে ৪০ মণ মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিল বলে জনশ্রুতি আছে।
ধলা জমিদার বাড়িটিতে ছয়টি ভবন রয়েছে যা বর্ত মানে পরিত্যক্তই বলা চলে। এখানে দুটি সান বাধানো পুকুর রয়েছে। বর্তমানে জমিদার বাড়িটির একটি অংশে ভূমি অফিস রয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গিরিশ চন্দ্র পাল একজন বর্ণবাদী জমিদার ছিলেন। কথিত আছে যে, তার বাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিম্নবর্ণের হিন্দু ছেলে-মেয়েদের স্কুলে ভর্তি হতে দিতেন না। দেশ বিভাগের পরে তিনি কলিকাতা চলে যান এবং তার বংশধরগণ সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে তার বসত বাড়ীতে ধলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম চলছে। তার পরিত্যক্ত বাড়ীতেই প্রথম ধলা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের কাজ শুরু করা হয়। বর্তামন সময়ে পরিত্যক্ত ভবনগুলো মেরামত করে ভবিষ্যত প্রজন্মদের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঐতিহ্য হিসেবে রাখা যেত।
বাড়ীর ভিতরে মহিলাদের জন্য একটি সান বাঁধানো পুকুর এবং কাচারী বাড়ীর সামনে বিরাট পুকুর খনন করেন। সামনের পুকুরের পূর্ব পার্শ্বে তার বাড়ীর লোকদের যে স্থানে শবদাহ করা হতো সেখানেই ছোট চৌচালা টিনের ঘর নির্মাণ করে রাখা হতো। প্রায় ১০ হতে ১২ টি ছোট চৌচালা টিনের ঘর ছিল। বর্তমানে সেখানে টিনের ছোট ঘরগুলো আর নেই।
ভ্রমনপিপাসু হিসেবে যদি এই জমিদার বাড়িটি দেখতে যেতে চান, তাহলে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে সিএনজি বা অটোরিকশা যোগে তাড়াইল উপজেলায় যেতে হবে এবং সেখান থেকে সিএনজি বা অটোরিকশা করে ধলা ইউনিয়নে যেতে পারেন।