মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বড়বাজার মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে। কিশোরগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশাল এ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখা। গণমিছিলে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে জনস্রোতের সৃষ্টি হয়।
গণমিছিলের নেতৃত্ব দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী।
পরে মিছিল শেষে এক সমাবেশে অধ্যাপক রমজান আলী বলেন, “দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াত কোনো আপস করবে না। দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই আমাদের অঙ্গীকার। ইনশাআল্লাহ, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বিগত ৫৪ বছরের সব বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে। নারী, সংখ্যালঘুসহ সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।”
গণমিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন—জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আজিজুল হক, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি শামসুল আলম সেলিম, রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আজিজুল হক কাজল, সাবেক নায়েবে আমির মোসাদ্দেক ভূঁইয়া, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মসিউদ্দিন সুমন, পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা আ.ন.ন.ম আব্দুল হক, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান আল মামুনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।