সোমবার (১১ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার কিরাটন ইউনিয়নের গৌরারগোপ গ্রামে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সংঘর্ষের সূত্রপাত গতকাল বিকেলে। তাজুল ইসলাম নামে এক যুবক বাড়ি থেকে গাবতলী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। সে সময় বিপরীত দিক থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আসছিলেন পাশের এলাকার বাসিন্দা মাসুদ মিয়া। মোটরসাইকেলের চাকা থেকে কাদা ছিটে তাজুলের গায়ে পড়লে প্রথমে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি। এরপর তা হাতাহাতিতে গড়ায়। এ নিয়ে দুপক্ষের দিনভর উত্তেজনা চলে।
কিরাটন ইউনিয়নের গৌরারগোপ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে করিমগঞ্জ থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরো জানান, শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে গৌরারগোপ গ্রামের তাজুল ইসলাম হেটে গাবতলী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে মোটর সাইকেলে যাচ্ছিলেন পাশের গ্রামের মাসুদ মিয়া। মাসুদের চলন্ত মোটর সাইকেল থেকে কাদা ছিটকে তাজুল ইসলামের শরীরে পড়লে দুই জনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এর এক পর্যায়ে তাজুল ইসলামকে মারধর করেন মাসুদ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র আজ সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি মাহবুব মোর্শেদ।