শনিবার (২৩ আগস্ট) দিনব্যাপী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিরাপদ খাদ্য আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। এ অভিযান পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জ বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট। সংক্ষিপ্ত বিচারিক প্রক্রিয়ার (সামারি ট্রায়াল) পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিরাপদ খাদ্য আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিশেষ অভিযানে ভেজাল, অনিবন্ধিত ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনের অভিযোগে এ দণ্ড দেওয়া হয়।
সদর উপজেলার চৌদ্দশত পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনিবন্ধিত অবস্থায় ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রির দায়ে সাদিয়া ফুড প্রোডাক্টসকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি জব্দ করা ভেজাল শিশু খাদ্য জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।
কটিয়াদী সরকারি কলেজের সামনে অবস্থিত মাহি ফুড প্রোডাক্টসকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও অনুমোদনহীন রং ব্যবহারসহ বিভিন্ন অপরাধে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
কটিয়াদী উপজেলায় কটিয়াদী বাজারের সুমন বেকারি নিবন্ধন ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন করায় আরও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভৈরব উপজেলার ফাড়ি রঘুনাথপুর ও আলুকান্দা এলাকায় মো. লিটন মিয়াকে অনিবন্ধিত অবস্থায় ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদনের দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ভেজাল খাদ্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
ভৈরবের দুর্জয় মোড়ে অবস্থিত আল আজিজিয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে ফ্রিজে কাঁচা ও রান্না করা খাবার একত্রে সংরক্ষণ এবং নিরাপদ খাদ্য আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান চলাকালে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র পাল, কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ, র্যাব ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
কিশোরগঞ্জ বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম জানান, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেজাল ও অনিরাপদ খাদ্যের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।