শুক্রবার রাতে সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেঅভিযুক্ত দুই যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
বহিষ্কৃত দুই নেতা হলেন জেলা যুবদলের সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আলী আব্বাস রাজন এবং সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক এমদাদুল হক এমদাদ।
উল্লেখ্য শুক্রবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার বৌলাই মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিরোধের জেরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই এলাকায় শুক্রবার যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল কর্মী খুন হয়। নিহত যুবদল কর্মী ইমরানুল হক হিমেল (৩২) বৌলাই ইউনিয়নের ভরাটি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে তাদের প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনও ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবারের সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্রেরও ব্যবহার হয়েছে বলে জানা গেছে। গুলিতেও অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন বলে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুুল্লাহ আল মাসুদ সুমনই জানিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের পর এমদাদসহ তার কয়েক অনুসারীর বাড়িতে প্রতিপক্ষ আগুন দেয়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জনকে যৌথ বাহিনী আটক করেছে বলে সদর থানা সূত্রে জানা গেছে। তবে বহিষ্কৃত দুই নেতা আলী আব্বাস রাজন ও এমদাদুল হক এমদাদ গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। থানায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি।
শনিবার হিমেলের দাফন শেষে স্বজনরা মামলা করবেন বলে জানা গেছে।