কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে মো. শরীফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম র্নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি হয়েছেন শরীফুল আলম, আর তৃতীয়বার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মাজহারুল ইসলাম।
দীর্ঘ ৯ বছর পর অনু্ষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন জেলা শহরের পুরান স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির ১ম অধিবেশনের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অংশ।
উল্লেখ্য যে কেবল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ দুটি পদেই ভোট গ্রহণ করা হয়। সম্মেলনে ২১টি সাংগঠনিক ইউনিট থেকে ২ হাজার ৯০ জন কাউন্সিলর পত্যক্ষ ভোটে অংশ গ্রহণ করেন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে দিকে ভোট গণনা শেষে জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
সভাপতি পদে মো. শরীফুল আলম পেয়েছেন ১ হাজার ৫২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল হোসাইন পেয়েছেন ১৯৭ ভোট, আর বাতিল হয়েছে ১২০টি ভোট।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম ১ হাজার ১৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল পেয়েছেন ৬১১ ভোট। অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে সাজ্জাদুল হক পান ৭ ভোট এবং শফিকুল আলম রাজন পান ৩০ ভোট। এ পদে বাতিল হয়েছে ৩৩টি ভোট।
১৩টি উপজেলা ও ৮টি পৌর কমিটির মোট ২ হাজার ৯০ জন কাউন্সিলর ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেন। ভোটগ্রহণ চলে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের শেষ সম্মেলনে শরীফুল-মাজহারুল নেতৃত্ব নির্বাচিত হলেও ফল ঘোষণা করতে কেন্দ্রকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল তিন সপ্তাহ। এবার সরাসরি ভোটের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের ভোটেই নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হলো।
নির্বাচন কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, তার কাছে কোনো প্রার্থী লিখিতভাবে অভিযোগ জমা দেননি, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে ।