রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জে গৌরাঙ্গবাজার এলাকায় একটি অনলাইন নিউজপোর্টাল অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে এক ভুক্তভোগী নারী। কিশোরগঞ্জের (ভৈরব সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন বলে্ ঐ ভুক্তভোগী নারী।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এএসপি নাজমুস সাকিবকে গ্রেপ্তার না করায় ও তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা না হওয়ার প্রতিবাদে আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জে গৌরাঙ্গবাজার এলাকায় একটি অনলাইন নিউজপোর্টাল অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নারী।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী অভিযোগ করেন, ‘ভৈরব সার্কেলে কর্মরত পুলিশের এএসপি আসামি নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে আমি তিনটা মামলা করি। আসামি নাজমুস সাকিব আমার সঙ্গে বিয়ে নিয়ে নাটক করেন। বিয়ের স্বীকৃতির দাবি করতে গেলে নাজমুস সাকিবের নির্দেশে তাঁর পরিবার আমাকে হত্যাচেষ্টা করে। পরে আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করি। সর্বশেষ গত ২০ মে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণের মামলা করি। ট্রাইব্যুনাল শাহবাগ থানা-পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।’
ওই নারী আরও বলেন, বর্তমানে মামলাটি শাহবাগ থানায় তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তকারী অফিসার আসামি তাঁর ঊর্ধ্বতন অফিসার হওয়ায় মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট দিতে তৎপর রয়েছেন। মামলাটির এফআইআর থাকলেও তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না। তিনি বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন। তিনি খুবই ক্ষমতাধর অফিসার। একই সঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কৌশলে ঘুষ চাইছেন ও নাজেহাল করছেন বলেও অভিযোগ করেন ওই নারী।
ওই ভুক্তভোগী নারী জানান, নাজমুসের প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীও নারী নির্যাতন ও যৌতুক আইনে মামলা করেছিলেন। কয়েক মাস জেলও খেটেছেন নাজমুস। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নাজমুসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্টের পর তিনি আওয়ামী লীগ শাসনামলে বঞ্চিতের শিকার দাবি করে আবার চাকরিতে যোগ দেন।