বুধবার , ৮ অক্টোবর ২০২৫ | ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইতিহাস ও ঐতিয্য
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. জেলা সংবাদ
  10. দুর্নীতি
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রযুক্তি
  14. প্রশাসন
  15. বিনোদন

চারদিন যাবৎ নিখোঁজ বিকাশকর্মী ওমর ফারুক, এলাকাবাসীর মানবন্ধন

প্রতিবেদক
somonnoy
অক্টোবর ৮, ২০২৫ ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ

বুধবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরের আখড়া ব্রিজ সংলগ্ন চত্বরে মানববন্ধন করে নিখোঁজ হওয়া বিকাশ কর্মী ওমর ফারুকের পরিবার ও স্বজনেরাসহ এলাকাবাসী।

‘৪ দিন ধরে নিখোঁজ বিকাশ কর্মী ওমর ফারুক। পরিবার বলছে জমি বিরোধের জেরে অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে টালবাহানা করছে। ওমর ফারুকের কিছু হয়ে গেলে তাঁর দায় প্রশাসনের ওপর বর্তাবে। নিখোঁজের ঘটনায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে ওমর ফারুকের বাবা জসিম উদ্দিন। মানববন্ধন করে এসব কথা বলেন ওমর ফারুকের পরিবার।

মানবন্ধনে অংশ অংশ নেন যশোদল ইউনিয়নের মধুনগর গ্রামের গ্রামবাসী। ওমর ফারুক জসিম উদ্দিনের ছেলে (৩১)। সে কিশোরগঞ্জ শহরে বিকাশ অফিসে কর্মরত ছিলেন।

সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টায় বাসা থেকে বের হয়ে বিকাশ অফিসে যায়। অফিসে কিছু সময় অবস্থান করে সাড়ে ১০টার দিকে বের হয়ে যায়। পরে সে বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে বাসায় ফিরে আসে এবং বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে পুনরায় নিজের অফিসের কাজে বাহির হয়। কিন্তু রাত সাড়ে ৮টায় তার অফিস থেকে ফোন করে পরিবারকে জানানো হয় যে সে অফিসে উপস্থিত হয়নি। এরপর থেকে আর ওমর ফারুককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে মানববন্ধনে ওমর ফারুকের ছোট ভাই মোশাররফ হোসেন রনি বলেন, প্রথমত জানতাম আমার ভাই নিখোঁজ হয়েছে কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) রাত তিনটায় মুক্তিপণের দাবিতে একটা ফোনকল আসে। পরবর্তীতে তাদের আর কল আসেনি। আমাদের ধারণা আমার ভাইকে অপহরণ করা হয়েছে। জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় বিরোধের কারণে কনফার্ম ধারণা আমার ভাইকে অপহরণ করা হয়েছে। থানায় বারবার স্মরণাপন্ন হলেও আমাদের এটা সেটা বুঝিয়ে আমাদের কার্যক্রমকে বিলম্বিত করে। আমি দ্রুত আমার ভাইয়ের খোঁজ চাই এবং যারা অপহরণ করেছেন তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

মানববন্ধনে ওমর ফারুকের মেয়ে ফারজানা বলেন, “বাবা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বলেছিলাম মজা এনো। আমার বাবাকে ফিরিয়ে এনে দিন।”

মানববন্ধনে ওমর ফারুকের স্ত্রী ফাহমিদা বলেন, আমার দুটো বাচ্চা আছে। আপনারা আমার স্বামীর খোঁজ করে দেন।

বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর এহতেশামুল হুদা মুনাব্বী বলেন, সে আমাদেরই কর্মী। অফিস থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নিয়ে বের হয়। এরপর থেকেই আমাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। পুলিশও আমাদের কাছে তদন্তে এসেছিলো আমরা তদন্তে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছি।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওমর ফারুক বিকাশে চাকরি করতো। তিনি রেলস্টেশন এলাকা থেকে পৌনে ৫ লাখ উঠান। তারপর থেকে ফারুকের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। অফিসেও যায়নি। আমরা কাজ করছি। ওমর ফারুকের বাবা একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তদন্ত চলমান। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ - আইন-আদালত