বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বিএডিসি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর জোনের সহকারী প্রকৌশলী (সওকা) শাওন মালাকারের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । ভুক্তভোগী মো. শরিফুল হক এ ঘটনায় বিএডিসি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরবর্তীতে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী মো. শরিফুল হক বাজিতপুর উপজেলার বাসিন্দা এবং বিএডিসি বাজিতপুর ইউনিটের ৪৭ নম্বর গণকূ স্কিমের ম্যানেজার। তিনি জানান, কুলিয়ারচর জোনাল অফিসের সহকারী প্রকৌশলী শাওন মালাকার তাঁর স্ত্রীকে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন।
শরিফুল হক অভিযোগ করেন, শাওন মালাকার তাঁকে জানান যে বিএডিসিতে তাঁর একজন বড় কর্মকর্তা পরিচিত আছেন, যার মাধ্যমে তিনি চাকরিটি নিয়ে দিতে পারবেন। এই আশ্বাসে ২০২৪ সালের রমজান মাসে স্ত্রীর স্বর্ণালংকার বিক্রি করে নগদ ৫ লাখ টাকা শাওন মালাকারের হাতে তুলে দেন শরিফুল।
ভুক্তভোগী শরিফুল হক অভিযোগ করেন, দেড় বছর পার হয়ে গেলেও চাকরি তো দূরের কথা, টাকাও ফেরত পাননি। টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টো তিনি হুমকি-ধমকির শিকার হচ্ছেন। এমনকি টাকা ফেরত চাইলে শাওন মালাকার তাঁকে বিএডিসি ম্যানেজারের পদ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগেও তিনি একবার অভিযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু কোনো তদন্ত হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি দ্বিতীয়বার বিএডিসি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
কিশোরগঞ্জ বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনকে অভিযোগটি তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিএডিসি কুলিয়ারচর জোনের সহকারী প্রকৌশলী (সওকা) শাওন মালাকার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে শরিফুল হক সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। এখন অভিযোগটির তদন্ত হচ্ছে। আমাদের অথরিটি তদন্ত করছে। তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক কোনো বিরোধ নেই। আমাকে ফাঁসানোর জন্য তিনি এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।’