বৃহস্পতিবার , ২৯ জুন ২০২৩ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইতিহাস ঐতিয্য ও ভ্রমন
  6. ঐতিহাসিক
  7. কৃষি
  8. ক্রিকেট
  9. খেলাধুলা
  10. জাতীয়
  11. তথ্য ও প্রযুক্তি
  12. ধর্ম
  13. প্রবাস
  14. ফটো গ্যালারি
  15. ফুটবল

ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষের ঢল

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৯, ২০২৩ ৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ইবনে আবদুল্লাহ শাহজাহান

অবিরাম বৃষ্টি উপেক্ষা করে ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৯৬তম পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে জামাতে অংশ নিতে মানুষের ঢল নামে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৯টায় এ ঈদের নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা হিফজুর রহমান। কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে এসেছেন মুসল্লিরা।
এছাড়াও দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের ঈদগাহ মাঠে আসার সুবিধার্থে ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুইটি স্পেশাল ট্রেন যাতায়াত করে। এদিকে, ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিদের প্রবেশের জন্য ৫টি প্রবেশপথ উন্মুক্ত রাখা হয়। এসব প্রবেশপথে স্থাপিত আর্চওয়ে দিয়ে মুসল্লিরা শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করেন। ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে মাওলানা হিফজুর রহমান দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া , শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীসহ সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতারা ও সুধীজন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানকে ঘিরে গড়ে তোলা হয় কয়েক স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিশোরগঞ্জ শহর এবং আশেপাশের এলাকায় বাড়ানো হয় গোয়েন্দা নজরদারি। বিজিবি, র‌্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য দিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয় শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানকে।
এছাড়াও সিসি ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে ঈদগাহের ভেতর ও বাহিরের এলাকা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়।
স্থানীয়দের মতে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’, এরপর ধীরে ধীরে সেই ‘সোয়া লাখিয়া’ পরিচিত হয়ে ওঠে শোলাকিয়া নামে।
জানা গেছে, ১৯৫০ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহের জন্য জমি ওয়াকফ করার ২০০ বছর আগে থেকে শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৬ একর আয়তনের শোলাকিয়ায় প্রতি বছর ঈদের জামাতে কয়েক লাখ মুসল্লির ঢল নামে। তবে কোরবানির আনুষ্ঠানিকতার কারণে ঈদুল আজহায় লোক সমাগত অনেক কম হয়।

সর্বশেষ - ইতিহাস ঐতিয্য ও ভ্রমন

আপনার জন্য নির্বাচিত