বৃহস্পতিবার , ১৫ জুন ২০২৩ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইতিহাস ঐতিয্য ও ভ্রমন
  6. ঐতিহাসিক
  7. কৃষি
  8. ক্রিকেট
  9. খেলাধুলা
  10. জাতীয়
  11. তথ্য ও প্রযুক্তি
  12. ধর্ম
  13. প্রবাস
  14. ফটো গ্যালারি
  15. ফুটবল

মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন বেলজিয়াম প্রবাসী

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১৫, ২০২৩ ১২:২৮ অপরাহ্ণ

গত ৬ ই জুন কিশোরগঞ্জে মনোয়ারা আক্তার নামে একজন মহিলা উনার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বেলজিয়াম প্রবাসী মাজেদুল হক শিকদার। তিনি তার প্রতিবাদ-লিপিতে জানান- বিভিন্ন মনগড়া আর মিথ্যা তথ্য উপাত্ত দিয়ে মনোয়ারা আসলে সেদিন সবার দৃষ্টি আকর্ষন করতে চেয়েছিলেন মাত্র ।  মনোয়ারা উনার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছেন এগুলো ছিল মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

সংবাদ সম্মেলনে মনোয়ারা প্রথমেই বলেন উনারা তিন বোন দুই ভাই। কিন্তু সত্য হলো উনারা চার বোন দুই ভাই। মেঝো বোন নুরজাহান আক্তার (বেলজিয়াম প্রবাসি) উনার দুটি জায়গা জমি মনোয়ারা ভুয়া দলিল পত্র বানিয়ে বিক্রি করে দেয়। সেসব ভুয়া দলিলে মনোয়ারা উল্লেখ করে যে উনার নাম মনোয়ারা আক্তার উরফে নুরজাহান আক্তার। এতে করে প্রায় ৪/৫ কোটির টাকার সম্পদ যার প্রকৃত মালিক নুরজাহান আক্তার খুব সহজে মনোয়ারা আত্মসাৎ করতে পেরেছেন। এ ঘটনার পর থেকে মনোয়ারা চার বোন না বলে ৩ বোন বলে জানায় সবাইকে। এছাড়াও বাবার ওরারিশয়ানা সার্টিফিকেট মোতাবেক এবং আত্নীয়স্বজনদের সাথে যে কেউ যোগাযোগ করলে চিরন্তন সত্যটা বেরিয়ে আসবে যে মনোয়ারারা ৪ বোন ২ ভাই এবং এটাই চিরন্তন সত্য।

মনোয়ারা আরো উল্লেখ করেন যে, উনার ছোটভাই মাজেদুল হক শিকদার উনাকে ৫.০৫ শতক জায়গায় জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেন। এদিকে ২০০৭ সালে তিনি তার সম্পুর্ন জায়গা ( ৮ শতক) এর জন্য বড়বোন মনোয়ারাকে একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদান করি যার মেয়াদ কাল ১২০ দিন এবং ২০০৭ সালেই উক্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি কিশোরগন্জ ডিসি অফিসে আবেদনের মাধ্যমে বাতিল ও না-মন্জুর হয়। এদিকে মনোয়ারার দলিল বিশ্লেষণ করলে সহজেই সত্যটা বেরিয়ে আসবে যে, ২০০৭ সালের বাতিলকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটিই ২০১৭ সালে ডিসি অফিসের একজন অফিস সহকারীর সহযোগিতায় অসৎ উপায়ে প্রতারনার মাধ্যমে রি-স্ট্যাম্প করে, যা কোন ভাবেই বৈধ নয়।

এছাড়া আমরা দুইভাই ২০১৩ সালে মনোয়ারাসহ বোনদেরকে ওয়ারিশ মোতাবেক পাওনা পরিশোধ করলে সকল বোনেরা ( মনোয়ারা সহ) ভাইদের রেজিস্ট্রি দলিল (লা-দাবী কাওলা) দেন, ঘোষণাপত্র দলিল নং১৯৫

আমি মাজেদুল হক শিকদার ২০১৪ সালে  নিজের নামে জায়গা খারিজ করে ২০১৫ সালে পৌরসভা থেকে বিল্ডিং এর ডিজাইন ও প্ল্যান পাশ করিয়ে বিল্ডিং এর কাজ শুরু করে একতলা সম্পন্ন করার পর ২০১৬ সালে বেলজিয়াম চলে গেলে এ সুযোগে মনোয়ারা ভাইদের জায়গা আত্মসাৎ করার জন্য সত্রিয় হয়।

প্রবাসে থাকার দরুণ মেজো বোন নুরজাহান আক্তারের জায়গা জমিও মনোয়ারা এভাবেই আত্মসাৎ করেছে এবং এসব বিষয়ে উপযুক্ত সকল প্রমানাদী রয়েছে। মনোয়ারা সম্মেলনে আরো অভিযোগ করেন উনার ভাইদের কারনে উনি সরকারি চাকুরিচ্যুত হয়।

যা সম্পূর্ন মিথ্যা। প্রকৃত সত্য হচ্ছে বছরের পর বছর স্কুলে অনুপস্থিত থাকা এবং চাকুরী দেওয়ার নামে মানুষের কাছ হতে টাকা নিয়ে  কাউকে চাকরি দিতে পারে নাই মনোয়ারা।

ভুক্তভোগীরা সবাই মিলে মনোয়ারার নামে মামলা দায়ের করলে, ৬ মাসের সাজা হয় এবং স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত হয় মনোয়ারা। ডিপিও অফিসে যোগাযোগ করলে আপনারা এই তথ্য পাবেন। এছাড়াও স্কুলে অনুপস্থিত থাকার সময় মনোয়ারা মামলার ফেরারি আসামী ছিলেন এবং চেক ডিজনার মামলায়ও সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ভুয়া দলিলের মাধ্যমে জোড়জবরদস্থি করে মনোয়ারা আমার জায়গা বিক্রি করতে চাইলে অপর ভাই মাসুদুল হক বাধা দিলে এটা নিয়ে বিরোধ শুরু হয় মনোয়ারার সাথে। তখন মনোয়ারা তার ছেলে এবং আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে মাসুদুল হকের নিজ বাসার ( ৮ শতাংশ) বাউন্ডারির ১২ ফুট গ্রীলের গেইট কাটার মেশিন দিয়ে সম্পূর্ণভাবে কেটে ভিতরে প্রবেশ করে স্বপরিবারে স্ত্রী এবং ৩ সন্তানসহ বের হয়ে যেতে বলেন এবং দাবী করে এটা নাকি মাসুদুল হকের জায়গা নয়।  অতঃপর প্রান নাশের হুমকি দিলে মাসুদুল হক নিজের নিরাপত্তার জন্য মামলা করতে বাধ্য হন এবং উক্ত মামলায় পুলিশ তাদের সবাইকে জেল-হাজতে প্রেরণ করে।

মনোয়ারা সম্মেলনে আরো জানান, ভাইদের অত্যাচারে তিনি রায়হেনা খাতুন নামে একজনের কাছে জায়গা বিক্রি করে দেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য ঘটনা হলো যশোদল ভুমি অফিসের তহশিলদার আবদুল্লাহ আল হাদি নামে একজনের সাথে মনোয়ারা প্রথমে উক্ত জায়গা ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে বায়না রেজিস্ট্রি করেন। পরবর্তিতে আবদুল্লাহ আল হাদি কর অফিস এবং দুদকের হাত থেকে বাঁচতে উনার শাশুড়ি রায়হেনা খাতুনের নামে ৯০ লক্ষ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। যেখানে জায়গাটির বাজার দর প্রায় ৪ কোটি টাকা। আর এ থেকেই বুঝা যায় লোভে পরে আবদুল্লাহ আল হাদি কম মূল্যে জায়গাটি আত্নসাৎ করতে মনোয়ারার সাথে হাত মিলায়। উল্লেখ্য এই হাদি সহ মনোয়ারা গংদের সবাই প্রতারনা মামলায় চার্জশিট ভুক্ত আসামী। সংবাদ সম্মেলনে রায়হেনা খাতুন বলেন, উনার সারাজীবনের চাকুরীর পেনশনের টাকা দিয়ে উনি জায়গা কিনেছেন। উনি পেশাজীবনে ছিলেন একজন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষিকা। একজন স্কুল শিক্ষিকার পেনশন কি আদৌ ৯০ লাখ কিনা এটাও তদন্তের বিষয় এবং প্রশ্নবিদ্ধও বটে।

এখন পর্যন্ত মনোয়ারা উনার দুই প্রবাসী ভাই, প্রবাসী মেঝোবোন সহ পরিবারের সবাইকে শুধু হেনস্থাই করে যাচ্ছেন। মনোয়ারা শুধুমাত্র ভাইদের হেয় প্রতিপন্ন করতেই এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বিভিন্ন সময় ভাইদেরকে মনোয়ারা হুমকি দিয়ে বলেন, তোদের আমি দেশে থাকতে দিব না, তোদের সকল বিষয় সম্পদ আমি একাই ভোগ করবো। এসব বিষয়ে কল রেকর্ড সহ আরো অনেক তথ্য প্রমান রয়েছে।

সর্বশেষ - ইতিহাস ঐতিয্য ও ভ্রমন

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ১৯৭ তম ঈদ জামাতে থাকছে চার স্থরের নিরাপত্তা

নরসুন্দা পাড়ের কন্যা বিচিত্রা পালের পিএইচডি অর্জন

কিশোরগঞ্জে আল হালাল ফাউন্ডেশনের  সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ

সিলগালা না করে ব্যালট পেপার বাসায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

কিশোরগঞ্জে চাষীদের খামার যান্ত্রীকিকরণের মাধ্যমে  ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে

কিশোরগঞ্জে জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন গ্রেফতার

কৃতিত্বপূর্ণ কর্মের স্বীকৃতিতে বিশেষ পুরস্কার পেল জয়নাল আবেদীন

শত শত নৌকায় বরণ সাবেক রাষ্ট্রপতিকে

কিশোরগঞ্জে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা নতুন কমিটি

বাংলাদেশের অপার বিস্ময় সেন্টমার্টিন