বৃহস্পতিবার , ৯ মে ২০২৪ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইতিহাস ঐতিয্য ও ভ্রমন
  6. ঐতিহাসিক
  7. কৃষি
  8. ক্রিকেট
  9. খেলাধুলা
  10. জাতীয়
  11. তথ্য ও প্রযুক্তি
  12. ধর্ম
  13. প্রবাস
  14. ফটো গ্যালারি
  15. ফুটবল

ব্রিটিশ আমলের প্রাচীন ঐতিহ্যময় ‘শিশু দুধের বাজার’ এখনও জমজমাট

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি
মে ৯, ২০২৪ ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ

ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলাটি ইতিহান ও ঐতিয্যময় একটি উপজেলা। কটিয়াদী উপজেলাটির আচমিতা ইউনিয়নে ব্রিটিশ আমলের প্রাচীন শিশু বাজারটি কালের সাক্ষী হয়ে এখনো টিকে আছে৷ নামে শিশু বাজার হলেও এটি মূলত দুধের বাজার।  বছরের পর বছর ধরে চলে আসা ঐতিহ্যের এই দুধের হাটটি এ অঞ্চলে দুধের চাহিদা মিটাচ্ছে৷ 

দিনের শুরুতেই সকালে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে ক্রেতাদের হয় মিলন মেলা গরুর দুধের হাট। এখানে খামারিরা প্রতিদিন বিক্রি করেন প্রায় ৬-৭ হাজার লিটার দুধ। দুধ বিক্রি করে নগদ টাকা পান, তা নিয়ে খুশি খামারিরা। আচসিতা ইউনিয়নের প্রবীণ লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্রিটিশ আমলে আচমিতা এলাকায় ব্রিটিশদের আনাগোনা ছিলো৷ হোসেনপুর ও কটিয়াদীর জালালপুরে ছিলো নীল কুঠির৷ এরমধ্যে জালালপুর ছিলো এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ চুল্লী। যা আজো টিকে আছে। ভৌগোলিক সুবিধা বিবেচনায় বর্তমান আচমিতা নামক এলাকায় তখন বৃটিশরা কয়েকটি প্রাসাদ স্থাপন করে বসবাস শুরু করেন। তাদের ছোট শিশুদের খাবারের জন্য দুধের প্রয়োজনীয়তায় দুধের জন্য শিশু হাট বসান বলে জনশ্রুতি আছে ৷ কালক্রমে আসে জমিদারি যুগ৷ তখন তারাও ভোরে দুধ নিতেন এই হাট থেকে৷ কাক ডাকা ভোর থেকেই এই হাট শুরু হতো৷ যা যুগের পর যুগ ধরে এখনো চলমান৷ আজো আচমিতার মানুষের কাছে শিশু হাট হিসেবে এটি পরিচিত৷ 

বাজারে আগত খামারিরা জানায়, ইউনিয়নের প্রায় হাজারের মতো খামারি দুধেল গরু পালন করেন। তারা উৎপাদন করেন প্রায় ৭-৮ হাজার লিটার দুধ। মাঝারি ও ক্ষুদ্র খামারিরা আচমিতা বাজারে এনে খুচরা ও পাইকারদের কাছে দুধ বিক্রি করেন। এখানে ৮-১০ জন পাইকার দুধ সংগ্রহ করেন।

ভোরে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সাইকেল, রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে খামারিরা তরতাজা দুধ নিয়ে আসছেন। কারো হাতে বোতল, কলশি,জগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন৷ কেউ দুই লিটার, কেউ ১০ লিটার,কেউবা আরো বেশি দুধ এনেছেন। ৭০-৮০ টাকা লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে। আবার পাইকাররা দুধ কিনে ড্রামে ঢেলে রাখছেন। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে দুধের মিষ্টি ঘ্রাণ। খামারিরা দাম পেয়েছেন প্রতি লিটার ৬০-৭০ টাকা দরে। হাটের অধিকাংশ ক্রেতা মিষ্টির দোকানী। দুধ সংগ্রহ করে মিষ্টি তৈরির কাজে ব্যাবহার করেন৷ 

আচমিতা গ্রামের দুধ বিক্রেতা জমির উদ্দিন (৭৫) বলেন, ‘আমাদের বাপ দাদারা এখানে দুধ বিক্রি করতেন৷ ছোট থেকেই দেখে আসছি৷ এই হাটের বয়স কতো আমিও জানিনা৷ তিন লিটার দুধ নিয়ে আসছি। বিক্রি করে নগদ টাকা পেয়ে ভালো লাগছে।’  বাজিতপুর থেকে আসা ক্রেতা মদন গোপাল বলেন, ‘৩০ বছর ধরে এই হাট থেকে ভোরে দুধ সংগ্রহ করি৷ পূর্বপুরুষরাও এখান থেকে নিতেন। ৭০ লিটার দুধ নিলাম মিষ্টির দোকানের জন্য৷’ 

আচমিতা বাজারটি কটিয়াদী-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশেই অবস্থিত, এখানে ভোর থেকে শুরু হয়ে সকাল ৯টা পর্যন্ত চলে এই হাট৷ 

সর্বশেষ - ইতিহাস ঐতিয্য ও ভ্রমন

আপনার জন্য নির্বাচিত

আউলিয়াপাড়া ফাজিল মাদ্রাসায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

কিশোরগঞ্জের জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হককে সংবর্ধনা প্রদান

বাংলাদেশের অপার বিস্ময় সেন্টমার্টিন

দেড় দশক পর কুলাউড়া আ.লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় হত্যার দায়ে ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সমাবেশ

ঐতিহাসিক জান্নতুল বাকী কবরস্থান

পাকুন্দিয়ায় বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

কিশোরগঞ্জের সদরে আওলাদ, হোসেনপুরে সোহেল ও পাকুন্দিয়ায় ঝুটন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত

মিশর- বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা