(নিজস্ব প্রতিনিধি, কায়রো, মিশর-থেকে)
পবিত্র কুরআনের সূরা আর রহমান এর ১৯ ও ২০ আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন। উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না। তাছাড়াও সুরা ফোরকানের ৫৩ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন, আর তিনিই দুই সাগরকে সমান্তরালে প্রবাহিত করেছেন, একটি মিষ্ট স্যুপেয় এবং অন্যটি লোনাখর, আর তিনি উভয়ের মধ্যে রেখে দিয়েছেন এক অন্তরায়, এক অনতিক্রম্য ব্যবধান। ভূমধ্যসাগর আর বিখ্যাত নীলনদ মিলিত হয়েছে মিশরের দুম্মিয়াত নামক স্থানে।
সেখানে নীলনদের মিষ্টি পানি আর ভূমধ্যসাগরে লোনা পানি প্রবাহিত হচ্ছে আপন গতিতে, কিন্তু একে অপরকে অতিক্রম করেনা। মিশরে বাংলাদেশি ছাত্র সংগঠন আল-আযহার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সেই মারাজাইল বাহরাইনে গিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী করলো মিশরে অধ্যায়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা।
শ্লোগান শ্লোগানে মুখরিত করলো আমার দেশ তোমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ। কায়রো থেকে বাস যোগে রাস-ইল-বার জেলার দুম্মিয়াত শহরের ভূমধ্যসাগর সৈকতে ছাত্ররা মেতে উঠেছিল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খেলা হাঁড়ি ভাঙা, দড়ি টানা সহ বিভিন্ন খেলায়। পড়ন্ত বিকেল দুই দরিয়ার মহনায় দাঁড়িয়ে হাম নাত পড়ার পাশাপাশি ওরা আমার দেশ তোমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ শ্লোগানে প্রকরিত করে তোলে গোঠা এলাকা। সাথে যোগ দেয় স্থানীয় মিশরীয় সহ বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা।
আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নরসিংদীর খালেদ মনসুর আজহারী বলেন, প্রিয় মাতৃভূমি ও আপনজনদের ছেড়ে বিদেশের মাটিতে প্রবাসীদের ঈদ যেন এক ভিন্ন রকম অনুভূতি, আজকের আনন্দ ভ্রমণের আয়োজনে আপনজনদের ছেড়ে একাকী ঈদ কাটানোর কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হলো। আরেক শিক্ষার্থী খাগড়াছড়ির ইলিয়াস হোসেন আজহারী বলেন, এই ঈদ পুনর্মিলনী ও শিক্ষা সফরে এসে চমৎকার একটা ঘটনায় মনটা ভালো হয়ে গেল। মাগরিবের আগ-মুহুর্তে সূর্য ডোবার সময় দুই দড়িয়ার পানি গুলো লালছে কালার ধারন করে। যা দেখার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছিল হাজারো পর্যটক।